প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৪১
মানুষরুপী কোন জানোয়ার করলো এমন কাজ !
এমন কাজ কোন মানুষে করতে পারে না, নিশ্চিত মানুষরুপী জানোয়ার করেছে। এমনটাই বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গত জৈষ্ঠ মাসে লেংড়া জাতের গাছটিতে কমপক্ষ ৫ মন আম ধরেছে যার ভাগ আশে-পাশের শতাধিক ব্যবসায়ী পেয়েছে। গাছটির বয়স প্রায় ১০ বছর হলে ও যত্নের কারনে প্রচুর আমের ফলন হয়েছে গেলো জৈষ্ঠ মাসে। মানুষরুপী কোন জানোয়ার বা জানোয়ারেে দল গত রাতের (বুধবার দিনগত রাত) কোন এক সময় গাছটির নিচে অর্ধেকটা অংশ কেটে রেখে যায়। রাত শেষে সকালে বাতাসের সাথে গাছটি হঠাৎ করে মাটিতে পড়ে যায়। এমন গাছটি কে কাটতে পারে, কারা কাটতে পারে, কোন উদ্দেশ্য কাটতে পারে এমন প্রশ্ন অন্তত যারা কাটা গাছটি দেখেছে তারাই প্রশ্ন করেছে আর আফসোস করেছে। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারের মাদ্দাহ্ খাঁ স্যানেটারী দোকানের সামনে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৮/১০ বছর পূর্বে শেখ মার্কেটের পূর্ব পাশে মাদ্দাহ্ খাঁ স্যানেটারীর মালিক রুহুল আমিন লেংড়া জাতের আমের চারাটি রোপন করে চারপাশে বেড়া দিয়ে যত্ন শুরু করেন। রোপনের মাত্র এক দশক পার না হতেই গত বছর গাছটিয়ে বেশ কিছু আম ধরে। সর্বশেষ গেলো মৌসুমে প্রায় ৫ মন আম ধরে গাছটিতে। গাছের সব আম একত্রে পেড়ে পাশের সকল ব্যাবসায়ীদের মাঝে ভাগ করে দেন রুহুল আমিন। স্যানেটারী ব্যবসায়ী হিসেবে খালি পানির ট্যাংকি এই গাছের সাথে শিকলে বেঁধে রাখতেন রুহুল আমিন। হঠাৎ করে গত রাতে বৃহস্পতিবার ( ২ আগষ্ট) দিনগত রাতের কোন এক সময় গাছের গোড়ায় অর্ধেকের বেশির ভাগ অংশ চিকন করাত দিয়ে কেটে রাখে মানুষরুপী কোন জানোয়ার বা জানোয়ারের দল।
কাটা গাছের প্রত্যক্ষদর্শী ও পাশের ব্যবসায়ী পলাশ, রিয়াদ, আলমগীর, শরীফ, ছায়েদ, মাহবুব, ইউসুফসহ বহু জনে জানান, গাছের পাশের কোন দোকানী গাছটি কাটতে পারে এ জন্য যে, তার দোকানের সাজানো মাল বাইরে থেকে দেখা যায়নি বলে অন্যদিকে মাদ্দাহ্ স্যানেটারীর যে ভিটিতে অবস্থিত সেই মার্কেটের মালিক পক্ষের ভাইয়ে ভাইয়ে মামলা চলমান, তাদের মধ্যেও কেউ এমন কাজ করে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী পত্রিকা বিলিকারন সুলতান পাটোয়ারী জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে প্রাইভেট পড়তে আসা এক মেয়ের উপর গাছটি পড়ে গিয়ে গোড়াটি উপরে উঠে যায়। মেয়েটি দৌড় দিয়ে রক্ষা পেলেও এমন গাছটি কোন জানোয়ার বা জানোয়ারের দল করেছে তা হিসেবে মিলছে না।
গাছ লাগানো রুহুল আমিন কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, গাছটি আমি সন্তানের মতো লালন পালন করেছি আর আশোপাশের কাউকে বাদ দিয়ে আমি একি আম খাইনি। যারা এ কাজ করেছে তাদের মুখে থু-মারি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম চাঁদপুর কন্ঠকে জানান, গাছের প্রান আছে,যারা এমন জঘন্য কাজ করেছে তারা একদিন এর প্রতিফল পাবেই। এই গাছ কাটা নিয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।